গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিপুল পরিমাণে সরকারি ওষুধ অবৈধভাবে মজুদ করে রাখার অভিযোগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত ১৯ এপ্রিল কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়ায় ‘সরকারি ওষুধ যেন কর্মকর্তার বাপের সম্পত্তি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন ডিজিহেলথের উপজেলা হেলথ কেয়ার বিভাগের উপপরিচালক ডা. আজিজ, ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক ডা. হারুন রশীদ এবং ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. জমির মো: হাসিবুস সাত্তার। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মামুনুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণে সরকারি ওষুধ লুকিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতায় কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুদ থাকা বিপুল পরিমাণ ওষুধ সময়মতো বিতরণ না করায় মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গত শনিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পশ্চিম পাশের একটি কোয়াটার বিল্ডিংয়ের নিচে পরিত্যক্ত ফ্লোরে বিপুল পরিমাণ ওষুধ মজুদ করে রাখা হয়েছে। সেখানে থাকা দুটি ইউনিটের পাঁচটি রুমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সরকারি এসব ওষুধ। সময়মতো বিতরণ না করায় এগুলো এখন মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ব্যবহারের অনুপযোগী। এছাড়াও, সেখানে থাকা দুটি রুমে হাসপাতালের জন্য ক্রয় করা বিভিন্ন সরঞ্জাম পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে তৎকালীন কাপাসিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা ডা: মামুনুর রহমান বদলি হওয়া স্টোরকিপার আব্দুর রাজ্জাকের ওপর দায় চাপাচ্ছেন।
ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরকারি এসব ওষুধ নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় যেই দায়ী হোক, তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।