কাপাসিয়া বাজার খেয়াঘাটে আবর্জনার স্তুপে বায়ু দূষণে পরিবেশ হুমকিতে

গাজীপুরের কাপাসিয়া বাজারে কাপাসিয়া তরগাঁও খেয়া ঘাটের দুই পাশে পুরু বাজারের আবর্জনা স্তুপাকারে রাখায় বায়ু দূষণ চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কাপাসিয়া বাজার খেয়াঘাটে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী আবর্জনার স্তুপের বায়ু দূষণের কারণে খেয়া নৌকা পারাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করে এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করছেন।

অপর দিকে এ খেয়াঘাটের পাশেই কাঁচা বাজারের অবস্থান থাকায় প্রত্যেকদিন কাপাসিয়া কাঁচা বাজার আগত হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতাদের কেনাকাটা ও প্রত্যহ চলাচল দূর্বিষহ আকারে রূপ নিয়েছে। কাঁচা বাজার, মাছ বাজার ও খেয়া ঘাটকে কেন্দ্র করে ময়লার আবর্জনার স্তুপের তিন দিকে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধ শতাধিক নানা রকম বাহারি খাবারের দোকান, চা স্টল। এ ছাড়া মহিলাদের জন্য সরকারিভাবে নির্মিত লেডিস কর্ণারটির অবস্থানও রয়েছে এখানে। বিগত দিনে প্রশাসনিক ভাবে এ ময়লা আবর্জনার স্তুপ এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র নেয়ার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হলেও অজ্ঞাত কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। জানা যায়, কাপাসিয়া বাজারে দৈনিক পরিচ্ছন্নতা কাজ শেষে সমস্ত আবর্জনা এখানে ফেলার কারণে বিশাল এ স্তুপের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ স্তুপাকারে রাখা আবর্জনার বিষাক্ত গন্ধ বাতাসের সাথে মিশে খেয়া ঘাট পারে বায়ু দূষণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষিত হচএ।

বাজারের এ খেয়াঘাট দিয়ে নৌকা পারাপারের হাজারো যাত্রীদের মধ্যে কথা হয় গাজীপুর জেলা জজকোর্টের আইনজীবী মো. ইসমাইল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, প্রত্যহ এখান দিয়ে আসা যাওয়ার পথে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় এখানে ফেলে রাখা আবর্জনার স্তুপের দুর্গন্ধের কারণে। একই কথা বলেন, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত এর সমাধান দেখতে চায় ভুক্তভোগীরা

কাপাসিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক আফজাল হোসেন বলেন, খেয়াঘাট ও কাঁচা বাজারের এ সমস্যাটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। কাপাসিয়া বাজারের সমস্ত আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার পর তা কোথায় রাখবে তার জন্য নির্ধারিত কোন স্থান থাকায় এখানে স্তুপাকারে রাখা হচ্ছে। বাজারের এ আবর্জনা ফেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করে ওখানে সমস্ত আবর্জনা ফেললে এ সমস্যা দুর হবে। আর এর জন্য বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিকভাবে সহযোগিতা প্রয়োজন।

উল্লেখিত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাক্তার তামান্না তাসনীম বলেন, কাঁচা বাজার ও খেয়াঘাটে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক ভাবে আলোচনা করে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।




Post a Comment

Previous Post Next Post