স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, ৯৯৯ নম্বরে কল করে আত্মসমর্পণ



 বরিশাল প্রতিনিধি  :

বানারীপাড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী বিথি রানী সমদ্দারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার দায় শিকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ফ্রিল্যান্স ব্যবসায়ী সুমন রায়। সোমবার বরিশালের বানারীপাড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি এ জবানবন্দি দেন।

রোববার দুপুরে উপজেলার তেতলা গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সুধির রায়ের ছেলে ও সুমন রায় ট্রিপল নাইনে কল করে তার স্ত্রী বিথি রানী সমদ্দারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার দায় শিকার করে থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

সুমন রায় ৫ বছর পূর্বে কোটালীপাড়া উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের বাসুদেব সমদ্দারের মেয়ে বিথি রানী সমদ্দারকে বিয়ে করেন। তাদের সুপ্তি রায় নামের তিন বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিন উদ্দিন@ জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তেতলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সুধির রায়ের ছেলে ফ্রিল্যান্স ব্যবসায়ী সুমন রায় (৩৩) ও স্ত্রী বিথি রানী সমদ্দারের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এর জের ধরে রোববার বেলা ১১টার দিকে সুমন রায় তার স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবামেক হাসপাতালে রেফার করেন।

সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার ওই দিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিথি রানীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখানে বিথি রানীর সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। পরদিন সকালে এ ঘটনায় বিথি রানীর ভাই বিবেক সমদ্দার বাদী হয়ে সুমন রায় ও তার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য সুধির রায় এবং মা স্কুলশিক্ষিকা সন্ধ্যা রানীকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রধান আসামি স্বামী সুমন রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম জানান।

অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মো. মতলেব হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, রোববার সকালে সুমন রায়ের বাবা সুধির রায় বাড়ি থেকে বের হয়ে শেরেবাংলা বাজারে এবং তার মা স্কুলশিক্ষিকা সন্ধ্যা রানী অফিসের কাজে বানারীপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যান। বেলা ১১টার দিকে সুমন রায় তার স্ত্রী বিথি রানীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। ওই ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছেন বলে তিনি জানান।

Post a Comment

Previous Post Next Post