জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল

সাভার প্রতিনিধি : যথাযথ মর্যাদায় আজ বুধবার ১৬ ডিসেম্বর,৪৯তম মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। এইদিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিবারের সঙ্গে ও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ভিড় করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম আর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দিনেই বাঙালি জাতি পেয়েছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব মানচিত্র আর চির গৌরবের পতাকা। এই দিনটিকে তাই শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করতে দেশপ্রেমীদের আগ্রহের কমতি ছিল না। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয় সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে। প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আহমদ চৌধুরী। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সামরিক কায়দায় শহীদদের প্রতি সালাম জানায়।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষ থেকে এবং তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পরপরই জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠতে থাকে শহীদ বেদী। সকাল ১১টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ছাড়াও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণফোরাম, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি, রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশ,সাভার প্রেসক্লাব,আশুলিয়া প্রেসক্লাব ও আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর সকাল ১১টার পর ভিড় কিছুটা কমে আসে। ব্যক্তি উদ্যোগে এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেকেই আসতে থাকেন স্মৃতিসৌধে। এ সময় করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post